তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সিনিয়রদের পেছনে ফেললেন তরুণ ক্রিকেটাররা। তাদের পারফরম্যান্সেই মাহমুদুল্লাহ একাদশকে ৪ উইকেটে হারালো শান্ত একাদশ।
উদ্বোধনী ম্যাচে টসজয়ী মাহমুদুল্লাহর দল প্রথমে ব্যাট করে রান তোলে ১৯৬। ১৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাহমুদুল্লাহর দলের মতো নাজমুলের দলও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ২৭ রানে সাইফকে হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। সৌম্য-নাজমুল ভালো শুরু করেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। সৌম্য ২১ ও নাজমুল ২৮ রানে আউট হন। দলের সবচেয়ে বড় তারকা মুশফিক অবশ্য ব্যর্থ হয়েছেন। বাজে শট খেলে ইবাদতের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
এতেও জিততে সমস্যা হয়নি নাজমুলদের। জুনিয়র দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় (৫২) ও ইরফান শুক্কুরের (৫৬) ব্যাটে ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দল।
মাহমুদুল্লাহর দলের সেরা বোলার ইবাদত হোসেন। ৪৬ রানে তিন উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। এছাড়া রাকিবুল, মাহমুদুল্লাহ ও আমিনুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করা মাহমুদুল্লাহ একাদশ নাজমুল একাদশের পেসারের তাণ্ডবে ৪৭.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১৯৬ রানে। ২১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে তুলতে অধিনায়কই রাখেন সবচেয়ে বড় ভূমিকা। ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিলে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিটি করেছেন তিনি। ৮২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদুল্লাহ সাজান তার ৫১ রানের ইনিংসটি। ইমরুলের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে মাহমুদুল্লাহর ৭২ রানের জুটি কিছুটা
স্বস্তি এনে দিলেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। দারুণ শুরু করেও ইমরুল ৫০ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন। ভালো শুরুর পর সাব্বিরও ফিরে গেছেন ২৫ বলে ২২ রান করে। নাজমুল একাদশের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন। শুরুতে এলোমেলো থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। ১০ ওভারে ৩৭ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচের সেরা বোলার। এছাড়া মুকিদুল ইসলাম, আল আমিনও সমান দুই্ উইকেট নিয়েছেন।